আপলোড তারিখ : 2023-03-01
বাঁকখালীর নদী থেকে আবারও দুই শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করল কক্সবাজার জেলা প্রশাসন
বাঁকখালীর নদী থেকে আবারও দুই শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করল কক্সবাজার জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী,তাজাখবর২৪.কম,কক্সবাজার: কক্সবাজারের প্রাণ হিসেবে পরিচিত ‘বাঁকখালী নদী’তে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে গঠিত টাস্ক ফোর্স। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মতে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে কস্তুরা ঘাট এলাকায় এ অভিযান শুরু করা হয়। প্রথম দিনে বিকেল পর্যন্ত শতাধিক আধাপাকা স্থাপনা, সীমানা দেয়া গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
উচ্ছেদ অভিযানে ‍নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ ইকবাল ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান বলেন, নদীর তীর দখলমুক্ত করতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনার আলোকে সোমবার দখলদারদের মালামাল ও স্থাপনা স্ব স্ব উদ্যোগে সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানিয়েছে মাইকিং করা হয়। আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল হতে বাঁকখালী তীরের কস্তুোরাঘাট এলাকা দখলমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুপুর পর্যন্ত চলা অভিযানে নির্মিতব্য বেশ কয়েকটি আধাপাকা স্থাপণা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ভেঙে ফেলা হয়েছে বেশ কয়েকটি প্লটের সীমানা দেয়ালও। অন্যান্য স্থাপনা মিলে প্রায় শতাধিক স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
দখল উচ্ছেদ চলাকালীন সময় দখলদার আব্দুল খালেক প্রকাশ খালেক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সাংবাদিক ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালানো হয়।
এদিকে বাঁকখালী নদী দখলে জড়িত ১৩১ জনকে চিহ্নিত করে পৃথক প্রতিবেদন তৈরি করেছে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও বিআইডব্লিউটি। নদীর অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি কক্সবাজার পৌরসভার কস্তুরা ঘাট থেকে খুরুশকুল সংযোগ সেতুকে কেন্দ্র করে দখলের মহোৎসব শুরু হয়। যেখানে সরকারি দলের নেতা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক নামধারী ব্যক্তি ও প্রভাবশালী মিলে প্রায় ৫০ জনের নাম রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দখলবাজদের থাবায় বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে বাঁকখালী নদী। নদীর বুকের প্রায় ৬০০ হেক্টর প্যারাবন নিধন করে ইচ্ছেমতো তীর দখল করে চলছে ভরাট ও প্লট তৈরির কাজ। নির্মাণ করা হচ্ছে একের পর এক স্থাপনা। প্রশাসন, বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদফতর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে দখলের এ মহোৎসব চললেও তা বন্ধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেইনি সংশ্লিষ্ট কেউ।

অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট দফতর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করেই দিনে-দুপুরে এসব দখল, বন ধ্বংস এবং স্থাপনা নির্মাণ চলেছে।জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট এডি এম আবু সুফিয়ান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বাক খালী নদীর উপর একটা  খুঁটি ও থাকতে দেওয়া হবে না। আবার নতুন করে কেউ দখল করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাজাখবর২৪.কম: ঢাকা বুধবার, ০১ মার্চ ২০২৩,১৬ ফাল্গুন ১৪২৯,০৮ শাবান ১৪৪৪



এই বিভাগের আরো সংবাদ

advertisement

 

                                                  প্রধান উপদেষ্টা: ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট
                                                           সম্পাদক: কায়সার হাসান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আর কে ফারুকী নজরুল, সহকারি সম্পাদক: জহির হাসান,নগর সম্পাদক: তাজুল ইসলাম।
ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: মডার্ণ ম্যানশন (১৫ তলা) ৫৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
এই ঠিকানা থেকে সম্পাদক কায়সার হাসান কর্তৃক প্রকাশিত।
কপিরাইটর্স ২০১৩: taazakhobor24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
ফোন: ০৮৮-০২-৫৭১৬০৭২০, মোবাইল: ০১৮১৮১২০৯০৮, 
facebook: taaza khobor, You tube:Taaza khobor Tv

বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, 2০২3