প্রকাশ: বুধবার, ৩০ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
আমাদের ভাবনার জায়গাগুলো কি হতে পারে?
আর কে ফারুকী নজরুল,তাজাখবর২৪,কম: আমাদের গরীবদেশ যদিও আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে বিশ্বের কাছে পরিচিতি হয়েছি। কিন্তু মধ্যম আয়ের দেশের স্বাভাবিকতা ধরে রাখার জন্যে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ঠিক রাখার যতদূর সম্ভব কর্মপরিকল্পনা রাখতে হবে। জীবন এবং জীবিকা দুটোকেই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। জীবিকা না থাকলে জীবন যেমন গুরুত্বহীন তেমনি একজনের জীবন একটি পরিবারের জীবিকার ব্যবস্থা। আমাদের লকডাউন নামক কর্মপরিধি না কমিয়ে। লকডাউনকে কঠিন স্বাস্থ্যবিধি মানার মাধ্যমে কর্মবান্ধব লকডাউন দিতে পারলে একদিকে যেমন জীবন অন্য দিকে জীবিকাও বেঁচে যাবে। আমাদের যতদূর সম্ভব কর্মসময়কে লম্বা করতে হবে। যেমন ব্যাংক সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা না করে আরো যতদূর সম্ভব সময় বাড়ানো, যাতে সময় স্বল্পতার কারণে ভিড় বেশি না হয়। প্রত্যেকক্ষেত্রে অনুরূপভাবে প্রয়োগ করতে হবে। বাজার সম্বাব্য খোলা জায়গায় ব্যবস্থা করতে হবে। মার্কেটগুলো ব্যাংকের অনুরূপভাবে সময় বাড়িয়ে সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত করা যেতে পারে এমনকি ডেনাইটও করা যেতে পারে। এক কথায় সমস্ত জায়গায় সময় বাড়িয়ে ভিড় এড়ানো ও স্বাস্থ্যবিধি কঠিন ভাবে পালন হলেই আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা ঠিক থাকতে পারে।
স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে সরকারকে বিশেষ বিবেচনা করতে হবে। মেধাশূর্ন ভবিষ্যৎ প্রজর্ম্ম দেশের জন্যে অশনিসংকেত। শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ থাকার কারণে মোবাইল (গেইম, ফেইসবুক) আসক্তি হচ্ছে। এই আসক্তি থেকে স্বাভাবিক জীবনে আনা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে যাবে। তাই কালবিলম্ব না করে কঠিন স্বাস্থ্যবিধি মানানোর মাধ্যমে সময় বাড়িয়ে প্রয়োজনে শিপ্টিং বাড়িয়ে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যেতে পারে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। সরকার এবং দেশের বিরুদ্ধে নয়। তাই এখানে কোথাও যদি দেশ ও সরকারের সাথে সাংঘর্ষিক হয় তার জন্যে ক্ষমা চাচ্ছি।
মন্তব্য প্রতিবেদন
তাজাখবর২৪,কম: ঢাকা বুধবার, ৩০ জুন ২০২১ ১৬ আষাঢ় ১৪২৮,১৮ জ্বিলক্বদ ১৪৪২