জনপ্রতিনিধী, সচেতন নাগরিক ও প্রশাসন সক্রিয় ভূমিকা রাখলে সামাজিক পরিবেশ পরিবর্তনে বেশি সময় লাগে না
প্রকাশ: বুধবার, ১২ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
তাজাখবর২৪.কম: একজন জনপ্রতিনিধি একজন সমাজ প্রতির উপর অর্পিত দায়িত্ব এলে ও স্থানীয় প্রশাসনের নিরপক্ষ ভূমিকা থাকলে এবং এলাকার সচেতন নাগরিকদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনে অপরাধীরা আসবে আইনের আওতায় দেশ ও জাতি যেমন উন্নত হবে, তেমনি সমাজ পরিবর্তন হয়ে আগামী প্রজন্মরা জাতির হিরখন্ড হয়ে গড়ে উঠবে। উপরোক্ত কথা গুলো বলেন আগামী ইউপি নির্বাচনে বেগমগঞ্জ উপজেলার ১নং আমানউল্যাহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক জাতীয় শ্রমীকলীগ নেতা এ.বি.এম সিদ্দিক নাসিম। তিনি আরো বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতির মানবাধিকার বাস্তবায়নে জীবনের ১৬টি বছর ধাপে ধাপে জেল-জুলুম খেটে এই দেশকে শত্র“ মুক্ত করে স্বাধীনতার লাল সূর্য উপহার দিয়েছেন। স্বাধীনতার পর সুন্দর একটি দেশ গড়ার সূচনা লগ্নে ১৯৭৫ সালে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু সহ পরিবারকে নিসংস্ব হত্যা করে দীর্ঘ ২১ বছর পর জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা বাঙ্গালী জাতির প্রাণের স্পন্দন হয়ে প্রধান মন্ত্রীর আসনে বসেন। প্রায় একযুগ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন কালে দেশ ও জাতির উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থা, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, মাতৃত্ব কালীন ভাতা, এশিয়া মহাদেশের মাইল ফলক পদ্মা সেতু, করোনা কালীন অসহায় দুঃস্থ ভাতা ও গণ মাধ্যম কর্মীদের ভাতা প্রদান সহ উন্নয়ন করে আসছেন। এই সবের খুব একটা প্রচার হয়নি, কারণ কতিপয় অসাধু রাজনৈতিক নেতার দূর্নীতির কারণে আজ দেশ ও জাতি কলঙ্কিত। ক্ষমতার লালসায় এক শ্রেনীর রাজনৈতিক কর্মী/নেতা জন প্রতিনিধির আসন দখল করার লালসায় এলাকার উর্ত্তীবয়সের যুবকদের হাতে অর্থ দিয়ে অপকর্মের দিকে দাপিত করে আসছে। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে কতৃপক্ষ রাজকর্মীদের ঘায়েল করতে মদ, গাঁজা, হিরোইন, ইয়াবা আসক্ত করে তুলছে। ফলে তুচ্ছ কথার জের ধরে নেশাখোর যুবকদের হাতে রামদা, কিরিজের জনজনানিতে অসহায় চিত্তে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে গ্রাম বাসী। খুন-খারাপি, চিনতাই, রাহাজানি, নারী দর্শন, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি তাদের নিত্য দিনের কর্ম। আমান উল্যাহপুর ইউপি বাসি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনেক উন্নয়ন ও অনুদান থেকে বঞ্চিত। অপসংস্কৃতির ছোবলে পড়ে গ্রামের শিশু কিশোররা হচ্ছে বিপথগামী। শিক্ষা নামে চলছে কুশিক্ষা। একাত্তরের পাকহানাদারের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে অন্যাযের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও রক্তক্ষয় সংঘর্ষে লিপ্ত হতে এদেশের আবাল বৃদ্ধবণিতা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মাঠে নেমে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে লাল সবুজ পতাকা হাতে নিয়ে বিজয়ের মালা গলায় নিয়ে উদিত লাল সূর্য নিচে দাড়িয়ে ছিল আমাদের মুক্তি যোদ্ধারা। এই মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হলো, এবং যারা বিরোঙ্গা হয়ে বেঁচে রইলো তারাই বা কি পেল? পেয়েছে একটি ১৭৫৭ সালের হারিয়ে যাওয়া স্বাধীনতা। সেই স্বাধীন দেশে আজ আমাদের সমাজ ব্যবস্থা যেভাবে অবক্ষয়ের দিকে দাবিত হচ্ছে কে দিবে আশা, কে দিবে ভরসা, কে দিবে নিরাপত্তা, কারা দিবে অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসার ব্যবস্থা। মনে হয় আমরা হারিয়ে যাচ্ছি সেই অন্ধকার যুগে। অসহায় আমান উল্যাহপুর ইউনিয়ন বাসীর আত্মনাদে এলাকার আকাশ ভারী হয়ে উঠেছে। উন্নত হয়নি যুবচরিত্র, উন্নত হয়নি সামাজিক পরিবেশ, হারিয়ে যাচ্ছে শ্রদ্ধাবোধ, সহমর্মিতা। আমি মনে করি বিভিন্ন ওয়ার্ডে গড়ে ওঠা নেশার আস্তানা, চাঁদা বাজির আস্তানা, সন্ত্রাসির আস্তানা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন সাহসী ভূমিকা নিরপক্ষ দৃষ্টি লোভ-লালসা পরিহার শালিসী বৈঠকে ন্যায় বিচারের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখলে সামাজিক অবক্ষয় রোধ সম্ভব। এ জন্য আমাদের সকলকে দলমত নির্বিশেষে সামাজিক পরিবর্তনে ও আগামী প্রজন্মকে সভ্যতার পথে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তবে ফিরে আসবে আমান উল্যাহপুর ইউনিয়ন পরিষদের সুন্দর পরিবেশ আগামী ইউপি নির্বাচনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। জনপ্রতিনিধী হিসেবে দায়িত্ব পেলে আমান উল্যাহপুর ইউপিকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করব। পাশাপাশি সকল নাগরিকদের কে নিয়ে মতামতের ভিত্তিতে সুন্দর সমাজ গড়ে তোলার মানসিকতা নিয়ে আপনাদের পাশে থাকতে চাই। পরিশেষে ইউনিয়নে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসহায় ছিন্নমূল মানুষদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। সাক্ষাৎ গ্রহনে:- এম.জি বাবর
তাজাখবর২৪.কম: ঢাকা বুধবার ১২ মে ২০২১ ২৯ বৈশাখ ১৪২৮,২৯ রমজান ১৪৪২