
মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী,তাজাখবর২৪.কম, কক্সবাজার: কক্সবাজারে ধর্ষণ ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত দুই ভূয়া র্যাবকে আটক করেছে র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল৷ রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলে র্যাব-১৫ এর মিডিয়া সেলে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আটককৃতরা হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার চৌধুরী পাড়ার ইউসুফের ছেলে জাহিদ হাসান ও চকনাধড়া পাড়ার আব্দুল লতিফের ছেলে সানোয়ার হাসান৷ শনিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় কক্সবাজার বাস টার্মিনাল এলাকায় রাজা গেস্ট হাউজ থেকে তাদের আটক করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে মো. ফজল করিম নামে এক ব্যক্তি সুগন্ধা বীচ থেকে সিএনজি অটোযোগে নিজ বাসায় ফেরার পথে বাস টার্মিনালের অদূরে যানবাহন থেকে পৌর টোল আদায়কারী টোল আদায়ের লক্ষ্যে সিএনজি’টি থামানো হয়। এ সময় ভূয়া র্যাব সদস্য পরিচয়দানকারী দুজন ব্যক্তি মোটরসাইকেল যোগে সেখানে হাজির হয়। হেড লাইটের উপরে র্যাব মনোগ্রাম লাগানো মোটর সাইকেলে আগত দুজনের মধ্যে একজন র্যাবের লোগো সম্বলিত টি-শার্ট পরা ছিল। তারা নিজেদের র্যাবের সদস্য পরিচয় দিয়ে সিএনজি’র যাত্রী ফজল করিমের কাছ থেকে নগদ ৯ হাজার টাকা, একটি ‘আইফোন-১১’ ও একটি রেডমি নোট ৮ প্রো স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেয়।
র্যাব আরও জানায়, আটককৃতরা রাজা গেস্ট হাউজের একটি কক্ষে অবস্থানরত রাঙ্গামাটি জেলা থেকে আগত এক পর্যটককে নিজেদের র্যাব পরিচয় দেয়। ওই পর্যটককে পরিচয় ও অন্যান্য বিষয়াদি জিজ্ঞাসাবাদের অজুহাতে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাবের একটি দল ওই গেস্ট হাউজ থেকে অপরাধীদের আটক করে। এসময় আটককৃতদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত জিনিসপত্র ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল জব্দ করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ছিনতাইকারীরা উক্ত ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। এছাড়া ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে পৌর টোল আদায়কারী জাহিদুল ইসলামের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানিয়েছে। ঘটনার পর থেকে জাহিদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। তাকে আটকের লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান চলমান।
আটককৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা৷
তাজাখবর২৪.কম: মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট ২০২৩,৩১ শ্রাবণ ১৪৩০,২৮ মহররম ১৪৪৫