
মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী,তাজাখবর২৪.কম,কক্সবাজার: মহেশখালী জেটি ঘাটে বিআইডব্লিউটিএ’র যাত্রী সেবার পল্টুন ভেড়াতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে। মেয়রের খবর দারিত্বে যেন অসহায় পল্টুনটি বিআইডব্লিউটিএ এর ট্রাফিক সুপার ভাইজার।
৩০ জুলাই রোববার বিকালে মহেশখালী ব্যস্ততম ঘাটে পল্টুনটি ভেড়ানোর পরে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিচয়ে একদল লোক পল্টুনটি ভাসিয়ে দেন। এসময় তারা পৌর মেয়র মকছুদ মিয়ার নির্দেশ বলে জানান। পল্টুনটি মহেশখালী থেকে ভেসে খুরুশকুল পৌঁছেছে। এখনো কেউ মহেশখালী ঘাটে বসানোর উদ্যোগ নেয়নি।
স্থানিয় বাসিন্দারা বলছেন মহেশখালীর ৫ লাখ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ঘাটে হয়রানিতে ভুগছে। ঝড়, বৃষ্টি, রোদ থেকে রক্ষা পেতে এবং রোগী, মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধদের বসার জায়গার জন্য দীর্ঘদিনের দাবি একটি পল্টুনের। রোববার সকালে বিআইডব্লিউটিএ একটি পল্টুন স্থাপন করে। কিন্তু সেটি দড়ি কেটে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসব বেআইনি ও জনকল্যাণ বিরোধী কাজ।
বিআইডব্লিউটিএ এর ট্রাফিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ আজাদ হোসেন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় এক প্রেস ব্রিফিং জানান, পল্টুনটি ঘাটে স্থাপনের পরপরই একদল লোক এসে গালিগালাজ করে পল্টুন স্থাপনে বাধা দেয়। পরে সেটি পাশে নোঙর করতে চাইলে ওই লোকজন ঘাট থেকে দুটি গামবোট নিয়ে পল্টুনটি টেনে নদীতে ভাসিয়ে দেয়। বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএর ৪ কর্মকর্তা কর্মচারীসহ পন্টুনটি খুরশকুলে নদীর পাড়ে ভাসমান অবস্থায় আছে।
অভিযোগের বিষয়ে মহেশখালী পৌর মেয়র মকছুদ মিয়ার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ঘাটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পৌর কর্তৃপক্ষের এ বাধা বলে জানা গেছে।
অপরদিকে পৌর সভার মেয়র মকছুদ মিয়ার ঘনিষ্টজনরা জানিয়েছেন,মহেশখালী ঘাট কিংবা জেটি কোনোটাই কোনো ভাবেই বিআইডব্লিউটির ঘাট বা জেটি নয়, স্বাধীনতার পর থেকে এটি কখনও তাদের ছিলো না। এটি পৌরসভার গেজেটভুক্ত জায়গা। তারা ঘাট নতুনভাবে পেয়ে থাকলেও তা পৌরসভাকে জানাতে হবে, পৌরসভার সাথে বসতে হবে। তারা তা না করে এ সব করতে পারে না। পৌরসভার পক্ষ থেকে পন্টুনটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তাজাখবর২৪.কম: সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩ ১৬ শ্রাবণ ১৪৩০,১২ মহররম ১৪৪৫