শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

সুদানে সেনা-মিলিশিয়া দুইপক্ষের লড়াইয়ে নিহত ২০০
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩, ১২:০০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
সুদানে সেনা-মিলিশিয়া দুইপক্ষের লড়াইয়ে নিহত ২০০-ফাইল ফটো-

সুদানে সেনা-মিলিশিয়া দুইপক্ষের লড়াইয়ে নিহত ২০০-ফাইল ফটো-

তাজাখবর২৪.কম,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুদানে সেনাবাহিনী এবং আধা-সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘাত এখনও চলছেই। দুইপক্ষের লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ মানুষ নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১৮০০ জন। তিনদিন ধরে চলা এই লড়াইয়ের কারণে সোমবার হাসপাতালগুলোতে ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছে। এতে করে মেডিক্যাল সরবরাহ ও খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
রাজধানী খার্তুমে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও সেনা সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে শনিবার লড়াই শুরু হয়। সংঘাতের কেন্দ্রে রয়েছে শীর্ষ দুই জেনারেল এবং সবশেষ এই সংঘর্ষের জন্য তাদের নেতৃত্বাধীন দুই বাহিনী পরস্পরকে দায়ী করছে।

সেনাবাহিনী ও আরএসএফ বাহিনীর মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষের কারণে রাজধানী খার্তুমসহ সারা দেশের মানুষের মধ্যে আবারও বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

২০২১ সালের অক্টোবরে এক সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে সুদানের ক্ষমতা মূলত সামরিক জেনারেলদের হাতে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। তার প্রতি অনুগত সামরিক ইউনিটগুলোর সঙ্গে লড়াই চলছে আরএসএফের, যার নেতৃত্বে রয়েছেন সুদানের উপ-নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো। তিনি হেমেডটি নামেও পরিচিত।

দাগালো বলেছেন, তার সৈন্যরা সব সেনা ঘাঁটি দখল না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। অপরদিকে সুদানের সশস্ত্র বাহিনীগুলোও আধা-সামরিক বাহিনী আরএসএফ-কে ধ্বংস না করা পর্যন্ত কোনো ধরনের আপোস-আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে।

অল্প কিছুদিন আগেও এই দুই সামরিক নেতার মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতা থেকে সরাতে তারা দুজন একসাথে কাজ করেছেন। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

কিন্তু এক পর্যায়ে আগামীতে দেশটি কিভাবে পরিচালিত হবে তা নিয়েই এই দুই নেতার মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। বিশেষ করে সুদানের ভবিষ্যৎ এবং দেশটির বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাবনা নিয়ে তারা ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেন।

এর আগে দেশটিতে বেসামরিক সরকার পুন-প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন গ্রুপ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই সংলাপও ব্যর্থ হয়।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই দুই জেনারেলের মধ্যে যে বিষয়টি বিরোধের একেবারে কেন্দ্রে রয়েছে তা হচ্ছে এক লাখ সদস্যের র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা এবং তারপর নতুন এই বাহিনীর নেতৃত্বে কে থাকবে সে বিষয়টি।

এর আগে বেশ কিছু সময় ধরেই উত্তেজনা চলছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরএসএফ বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি সুদানি সেনাবাহিনী। তারা এটিকে তাদের জন্য হুমকি হিসেবে মনে করে।

উত্তেজনা নিরসনে আলাপ আলোচনাও শুরু হয়েছিল। আশা করা হচ্ছিল যে সংলাপের মধ্য দিয়ে এই উত্তেজনা প্রশমিত হবে এবং বিরোধের অবসান ঘটবে।

কিন্তু আলোচনায় কোনো সমাধান আসেনি। এর জের ধরেই শনিবার সকালে লড়াই শুরু হয়। তবে কোন পক্ষ প্রথম আক্রমণ করেছে তা স্পষ্ট নয়। দুপক্ষের মধ্যে বিমান হামলা, আর্টিলারি এবং ভারী অস্ত্র দিয়ে গোলাগুলি হচ্ছে। দেশটির বাসিন্দারা একদিকে খাবার এবং পেট্রোলের সংকটে রয়েছে। অন্যদিকে নতুন করে যুক্ত হয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মতো সমস্যাও।

তাজাখবর২৪.কম: ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ৫ বৈশাখ ১৪৩০,২৬ রমজান ১৪৪৪







« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ

সম্পাদক: কায়সার হাসান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আর কে ফারুকী নজরুল, সহকারি সম্পাদক: জহির হাসান,নগর সম্পাদক: তাজুল ইসলাম।
ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: মডার্ণ ম্যানশন (১৫ তলা) ৫৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
ফোন: ০৮৮-০২-৫৭১৬০৭২০, মোবাইল: ০১৮১৮১২০৯০৮, ই-মেইল: [email protected], [email protected]
সম্পাদক: কায়সার হাসান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আর কে ফারুকী নজরুল, সহকারি সম্পাদক: জহির হাসান,নগর সম্পাদক: তাজুল ইসলাম।
ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: মডার্ণ ম্যানশন (১৫ তলা) ৫৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
🔝